জেলার সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের আরজি রাজগঞ্জ গ্রামের সাকুর সিকদারের স্ত্রী গৃহবধু তিন সন্তানের জননী রেহেনা বেগম (৪২) কে মারধরের খবর পাওয়া গেছে । ঘটনাসূত্রে জানাযায় , মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ঃ০০ ঘটিকার সময় নিজ বাড়ির ঘরের ভিতরে বসে মেয়ের সাথে কথা বলছিল এ সময় রেহেনা বেগমের হাঁস মুরগী তার ভাশুরের ঘরের সামনে গেলে এ নিয়ে তাহার ভাশুর মোঃ আলমগির সিকদারের (৫৩) সাথে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায় আলমগির সিকদার চড়াও নিজের মেয়েকে নিয়ে রেহেনা বেগমকে এলোপাথারীভাবে কিল,
ঘুসি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে রেহেনা বেগমের পা ভেঙে যায় ও দায়ের কোপে রেহেনা বেগমের অন্য পা টি কেটে যায় এইসময় রেহেনা বেগমের মেয়ে সুমাইয়া তার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার উপরেও হামলা করে আলমগীর সিকদার ও তার মেয়ে এলিজা। এ সময় মা মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী রেহেনা বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার কে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, মা ও মেয়ে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ।
ঘটনার বিষয় রেহেনা বেগমের স্বামী সাকুর সিকদার বলেন,আমার ভাইয়ের সাথে আমার জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল আমার জমি জাল দলিল করে ভোগ দখল করে আসছে এ বিষয় পটুয়াখালী কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে, এজন্য পূর্বশত্রুতার জেরে আমার স্ত্রী ও মেয়ে কে মারধর করে, তাদেরকে কিছু বলা যায় না। আমার স্ত্রীকে সাধারণ বিষয় নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় হামলায় আমার স্ত্রী ও মেয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এ বিষয় অভিযুক্ত আলমগীর সিকদার এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে হামলারা বিষয়টি এড়িয়ে জান ।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সাকুর সিকদার ও তার পরিবার জানায়। তবে এলাকাবাসী এহেন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবী জানান।